পাকিস্তানি সেনাদের অহংকার, নির্বুদ্ধিতা ও ভীরুতা নিয়ে প্রচলিত আছে অনেক মজার সব ঘটনা ও কৌতুক। আজ পর্ব ৫ -
১.
প্রথম পাক সেনা: ইনজামাম, আমার মনে হয় ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধারা ঢুকেছে। এই ইনজামাম, তুই কি জেগে আছিস?
দ্বিতীয় পাক সেনা: না, আমি জেগে নাই।
২.
পাক সেনা: স্যার, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের ঘিরে ফেলেছে। আমরা কি এখন দৌড়ে পালাবো?
পাক অফিসার: কী দরকার মরার আগে দৌড়ে ক্লান্ত হওয়ার?
পাক সেনা: স্যার, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের ঘিরে ফেলেছে। আমরা কি এখন দৌড়ে পালাবো?
পাক অফিসার: কী দরকার মরার আগে দৌড়ে ক্লান্ত হওয়ার?
৩.
পাকিস্থানি সেনা: দোস্ত, আমার মনে হয় একটা চশমা নিতে হবে। আমি তো কোনো মুক্তিযোদ্ধা দেখতে পাচ্ছি না।
মুক্তিযোদ্ধা: ঠিক বলেছিস, তোর চশমা লাগবে। তোর দোস্ত এখানে নাই... তুই এখন মুক্তিবাহিনীর ঘাঁটিতে।
পাকিস্থানি সেনা: দোস্ত, আমার মনে হয় একটা চশমা নিতে হবে। আমি তো কোনো মুক্তিযোদ্ধা দেখতে পাচ্ছি না।
মুক্তিযোদ্ধা: ঠিক বলেছিস, তোর চশমা লাগবে। তোর দোস্ত এখানে নাই... তুই এখন মুক্তিবাহিনীর ঘাঁটিতে।
৪.
পাকিস্থানি কমান্ডার: মুনায়েম, তোমার হাতে ওটা কী?
মুনায়েম: বন্দুক স্যার।
পাকিস্তানি কমান্ডার: না মুনায়েম, এটা বন্দুক নয়। এটা তোমার ইজ্জত, তোমার গর্ব, এটা তোমার মা হয় মা! কামরান, তোমার হাতে ওটা কী?
কামরান: স্যার, এটা মুনায়েমের ইজ্জত, মুনায়েমের গর্ব, স্যার এটা আমার আন্টি হয়, আন্টি!
পাকিস্থানি কমান্ডার: মুনায়েম, তোমার হাতে ওটা কী?
মুনায়েম: বন্দুক স্যার।
পাকিস্তানি কমান্ডার: না মুনায়েম, এটা বন্দুক নয়। এটা তোমার ইজ্জত, তোমার গর্ব, এটা তোমার মা হয় মা! কামরান, তোমার হাতে ওটা কী?
কামরান: স্যার, এটা মুনায়েমের ইজ্জত, মুনায়েমের গর্ব, স্যার এটা আমার আন্টি হয়, আন্টি!
৫.
হরহামেশা মার্শাল ল’র দেশ পাকিস্তানে তখন সান্ধ্য-আইন চলছে। সন্ধ্যা ছ’টায় কারফিউ শুরু। পৌনে ছ’টা বেজে গেছে, ত্রস্তপায়ে মানুষজন ছুটছে গন্তব্যে। সেনা চেকপোস্টের এক সৈনিক হঠাৎ বলা নেই কওয়া নেই বাড়ির পথে দৌড়ুতে থাকা একজনকে গুলি করে মেরে ফেলল।
সঙ্গী সৈনিকরা হতবাক। ‘তুই এটা কি করলি নালায়েক! লোকটা তো আমাদের কোনো উসকানিই দেয়নি। আর কারফিউ শুরুর এখনো পাক্কা পনের মিনিট বাকি? কোনো কারণ ছাড়াই জ্বলজ্যান্ত একজন মানুষকে মেরে ফেললি! এটা তো একাত্তরের পূর্ব পাকিস্তানও না। তুই মানুষ না অন্য কিছু?’
খুনি সৈনিকের ঠাণ্ডা জবাব, 'আমি লোকটাকে চিনি। তার বাড়ি এখান থেকে কম করে হলেও এক ঘণ্টার পথ। এই ১৫ মিনিটে বেটা কোনোমতেই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারতো না। তাই... আগেভাগেই কাজ সেরে দিলাম!' কথা শেষ করে সদ্য গুলি করা রাইফেলটি পরিষ্কারে মনোযোগ দিল সে।
হরহামেশা মার্শাল ল’র দেশ পাকিস্তানে তখন সান্ধ্য-আইন চলছে। সন্ধ্যা ছ’টায় কারফিউ শুরু। পৌনে ছ’টা বেজে গেছে, ত্রস্তপায়ে মানুষজন ছুটছে গন্তব্যে। সেনা চেকপোস্টের এক সৈনিক হঠাৎ বলা নেই কওয়া নেই বাড়ির পথে দৌড়ুতে থাকা একজনকে গুলি করে মেরে ফেলল।
সঙ্গী সৈনিকরা হতবাক। ‘তুই এটা কি করলি নালায়েক! লোকটা তো আমাদের কোনো উসকানিই দেয়নি। আর কারফিউ শুরুর এখনো পাক্কা পনের মিনিট বাকি? কোনো কারণ ছাড়াই জ্বলজ্যান্ত একজন মানুষকে মেরে ফেললি! এটা তো একাত্তরের পূর্ব পাকিস্তানও না। তুই মানুষ না অন্য কিছু?’
খুনি সৈনিকের ঠাণ্ডা জবাব, 'আমি লোকটাকে চিনি। তার বাড়ি এখান থেকে কম করে হলেও এক ঘণ্টার পথ। এই ১৫ মিনিটে বেটা কোনোমতেই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারতো না। তাই... আগেভাগেই কাজ সেরে দিলাম!' কথা শেষ করে সদ্য গুলি করা রাইফেলটি পরিষ্কারে মনোযোগ দিল সে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন